
পানামা ও সুয়েজ খাল ব্যবহার করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প
Progga News Desk:
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজের জন্য পানামা ও সুয়েজ খাল বিনা মাশুলে ব্যবহার করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্য গতকাল শনিবার খাল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে দ্রুত অগ্রগতির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিওকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।
সুয়েজ খাল ছবি: এএফপি
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কয়েক মাস ধরে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা বলে আসছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ সুয়েজ খালের দিকেও মনোযোগ দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প তাঁর ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, আমেরিকান সামরিক ও বাণিজ্যিক জাহাজকে পানামা ও সুয়েজ খাল দিয়ে বিনা মাশুলে চলাচলের অনুমতি দেওয়া উচিত!
ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এই দুটি রুটের অস্তিত্বই থাকত না। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে অবিলম্বে বিষয়টি দেখভাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো শনিবার এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, পানামা খালের টোল ফি নিয়ন্ত্রণ করে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ। স্বায়ত্তশাসিত এই সংস্থা বাণিজ্যিক রুট দেখভাল করে। তবে পোস্টে ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
পানামা খাল ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ চলতি মাসের শুরুতে পানামা সিটি সফর করেন। এ সময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি চুক্তি করতে চাইছে, যার মাধ্যমে তাদের যুদ্ধজাহাজগুলো ‘বিনা মূল্যে’ পানামা খাল ব্যবহার করতে পারবে।
মিসরের সুয়েজ খালও একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। এই খাল ইউরোপ ও এশিয়াকে যুক্ত করেছে। লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে হুতি বিদ্রোহীরা হামলা করার আগে আন্তর্জাতিক নৌ বাণিজ্যের ১০ শতাংশ এই রুট ব্যবহার হতো।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল গাজায় হামলা করার পর ইরান–সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানায়। ইসরায়েলের হামলার বদলা নিতে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে চলাচলকারী জাহাজে হামলা চালায় তারা। এ কারণে জাহাজগুলো বাধ্য হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা হয়ে চলাচল শুরু করে। ফলে সময় ও ব্যয় দুটোই বেড়ে যায়।এমন পরিস্থিতিতে গত বছর সুয়েজ খালের বার্ষিক রাজস্ব আয় ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে মিসর। এতে অন্তত ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। হুতি বিদ্রোহীদের কোণঠাসা করতে গত বছরের জানুয়ারি থেকেই তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। তবে গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই হামলা আরও জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে গত মাসে প্রায় প্রতিদিনই হুতিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেছেন, জাহাজের জন্য হুতিদের হুমকি দূর না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম চলবে।